Hot!

Other News

More news for your entertainment

জেনে নিন: জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম-কানুন

জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম-নীতি সম্পর্কে জ্ঞাত হবার পূর্বেই জেনে নিতে হবে জমি রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা?

উত্তর হচ্ছে, প্রয়োজনীয়তা যতটুকু না রয়েছে তার চেয়ে আইনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে অনেক বেশী। রেজিস্ট্রেশন আইন ২০০৪ (সংশোধিত) অনুযায়ী, সকল দলিল রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। ২০০৪ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন সংশোধনের পর মৌখিক দান/বিক্রয় বৈধ নয়।


লেখক: এডভোকেট জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (রিগ্যান)
01711 970 318 | advocateregan@gmail.com | www.advocateregan.com |
লেখাটি সম্পর্কে যে কোন জিজ্ঞাসার জন্য এখানে ক্লিক করুন...

সুতরাং আইনের দিক থেকে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। আর প্রয়োজনের দিক থেকে আইনকে প্রধান্য দিতে হবে আগে। জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন না হলে আইনের দিক থেকে কোন সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। রেজিস্ট্রিকৃত দলিল থাকলে পরবর্তীতে বিরোধ এড়ানো যায়। আইন অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় দলিল অবশ্যই লিখিত এবং রেজিস্ট্রি হতে হবে।


লেখাটি স্বত্ব সংরক্ষিত, অন্যত্র কপি/নকল বারিত।
তবে লেখকের স্বত্ব উল্লেখপূর্বক হুবহু প্রিন্ট অথবা শেয়ার করতে বাধা নেই।

দলিল রেজিস্ট্রির নিয়ম কি?

নিয়ম হচ্ছে, আপনি যখন একটি জমি ক্রয় করবেন তখন ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন (সংশোধিত ২০০৪) আইন অনুযায়ী আপনাকে উক্ত জমির মালিকানা পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নির্ধারিত ফরমে তথ্য ও দলিলাদি উল্লেখ পূর্বক নিবন্ধন করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনাকে নির্ধারিত সরকারী ফি প্রদান করতে হবে। আপনি চাইলে দলিল লেখকের সহযোগীতাও নিতে পারেন।


উক্ত দলিলে জমির পরিচিতি, দাতা-গ্রহীতার বিবরণ এবং ছবি সংযুক্ত করতে হয়। দলিল দাতার নামে অবশ্যই নামজারী বা মিউটেশন করা থাকতে হবে (উত্তরাধিকার ছাড়া)। দলিলে বিগত ২৫ বছরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও সম্পত্তি প্রাপ্তির ধারাবাহিক ইতিহাস লিখতে হবে। জমির প্রকৃত মূল্য, চারদিকের সীমানা, নকশা তথা চৌহদ্দি দলিলে উল্লেখ করতে হবে। দাতা কর্তৃক বিক্রিত সম্পত্তি অন্য কারো কাছে বিক্রি করেনি এ্রই মর্মে একটি হলফনামা ও সংযুক্ত করতে হবে। দলিলে বিক্রিত জমির জরীপ খতিয়ান সমূহ যেমন CS, RS-এর মালিকানার ধারাবাহিক ইতিহাস উল্রেখ করতে হবে। প্রয়োজনে ভায়া দলিলেরবিবরণ উল্লেখ করতে হবে।

উল্লেখ যে, জমির বায়না দলিলও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। রেজিস্ট্রি ছাড়া বায়না দলিলের আইনগত মূল্য নেই। বায়না দলিল সম্পাদনের ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে এবং উক্ত বায়না দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ হতে ১ বছরের মধ্যে বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি তথা নিবন্ধন করতে হবে।
এছাড়া, হেবা বা দানকৃত সম্পত্তির দলিল, বন্ধককৃত জমির দলিল, বাটোয়ারা বা আপোষ বণ্টন নামা দলিলও রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক।

ভায়া দলিল কি?




জমি সংক্রান্ত বিষয়াদির সাথে আমরা প্রায়শ “ভায়া দলিল” শব্দ যুগলের কথা শুনে থাকি। কিন্ত অনেকই জানিনা “ভায়া দলিল” কি এবং কাকে বলে?

সহজে উত্তর হচ্ছে, জমির মূল বা আদি দলিলকে ভায়া দলিল বলে। আর জমির মালিকানা নিরুপনের জন্য ভায়া দলিল একটি অপরিহার্য উপাদান।


লেখক: এডভোকেট জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (রিগ্যান)
01711 970 318 | advocateregan@gmail.com | www.advocateregan.com |
লেখাটি সম্পর্কে আপনার যে কোন জিজ্ঞাসার জন্য এখানে ক্লিক করুন...


দরুন, আপনি একখন্ড জমি আলম সাহেব থেকে ক্রয় করলেন, যার দলিল নং ২০০। আলম সাহেব উক্ত জমি ক্রয় করলেন সুফিয়া খাতুন থেকে, যার দলিল নং ১৩০। এখানে আপনার সৃজিত দলিল নং ২০০ এর ভায়া দলিল নং হচ্ছে ১৩০। অর্থাৎ ভায়া দলিল হচ্ছে মূল দলিল যা থেকে সৃষ্টি হয় পরের দলিল সমূহ।

আপনি যখন কোন জমি ক্রয় করবেন তখন অবশ্যই জমির বিক্রেতা থেকে ভায়া দলিল চেয়ে নিবেন। সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি নির্দিষ্ট ফরমে সার্চ করে উক্ত দলিলের সঠিকতা যাচাই করে নিবেন। আর উক্ত ভায়া দলিল থেকে সৃষ্ট পরবর্তী প্রতিটি দলিলের দাগ নাম্বার ও জমির হিস্যা ঠিক আছে কিনা জেনে নিবেন। যদি সন্দেহ হয় তাহলে রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষিত দলিলের সাথেও মিলিয়ে দেখতে পারেন।


লেখাটি স্বত্ব সংরক্ষিত, অন্যত্র কপি/নকল বারিত।
তবে লেখকের স্বত্ব উল্লেখপূর্বক হুবহু প্রিন্ট অথবা শেয়ার করতে বাধা নেই।

যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার



যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় বেসরকারি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 
গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষকের নাম মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কলাবাগান থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ঠাকুর দাশ প্রথম আলোকে বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে গতকাল রাতে ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে কলাবাগান থানার হাজতে রাখা হয়েছে। 
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের ওই শিক্ষককে গত শনিবার সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। 
পরে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য এ এম এম সফিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের ছাত্রীরা বিভিন্ন সময় যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। সম্প্রতি আরেক ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। ওই শিক্ষক সংশ্লিষ্ট ছাত্রীকে চাপ দিয়ে মিথ্যা বিবৃতি আদায় করেন। এ জন্য তাঁরা ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

৫৪ ধারায় নিঃশেষ এক জীবন



১৯৯৩ সালের ১১ জুলাই। এই দিনটি অভিশাপ হয়ে এসেছিল যুবক ফজলু মিয়ার জীবনে। পুলিশের সন্দেহের কারণে তাঁর জীবন থেকে হারিয়ে গেল ২২টি বছর। আজ বৃহস্পতিবার তাঁর মুক্তি মিলছে বটে, কিন্তু আর কি ফিরে পাবেন তিনি স্বপ্নময় সেই জীবন?http://adexcelbd.com/www/delivery/lg.php?bannerid=0&campaignid=0&zoneid=47&loc=http%3A%2F%2Fwww.kalerkantho.com%2Fprint-edition%2Ffirst-page%2F2015%2F10%2F15%2F279307&referer=https%3A%2F%2Fwww.google.com%2F&cb=9911204d5b

২২ বছর আগে সিলেটের আদালতপাড়ায় ঘোরাঘুরি করার সময় পুলিশের একজন ট্রাফিক সার্জেন্টের সন্দেহের শিকার হন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলি ইউনিয়নের ধরাধরপুর গ্রামের ফজলু মিয়া। এরপর তাঁকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ফজলুর বিরুদ্ধে পাগল আইনে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।

গতকাল বুধবার ফজলু মিয়াকে ভুক্তভোগী হিসেবে আদালতে উপস্থাপনের পর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

ফজলুকে আইনি সহায়তা দেওয়া বেসরকারি সংস্থা ব্লাস্টের আইনজীবী জ্যোৎস্না ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'আদালতে ফজলু মিয়াকে আসামি নয় বরং একজন ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপন করেছি। আদালত বিষয়টি অনুধাবন করে জামিন মঞ্জুর করেছেন।'

ফজলু মিয়াকে মুক্ত করার প্রচেষ্টায় এগিয়ে এসেছিলেন তাঁর একসময়ের সহপাঠী দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য কামাল উদ্দিন রাসেল। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তাঁকে (ফজলু) অনেক বছর খুঁজে ফিরেছি। কিন্তু পাইনি। তিন বছর আগে জানতে পারি তিনি মারা গেছেন। এরপর খোঁজাখুঁজি বন্ধ করে দেই। কিন্তু কয়েক দিন আগে জানতে পারি, তিনি কারাবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। এরপর খোঁজখবর নিয়ে তাঁর জামিনের ব্যবস্থা করি।'

জানা গেছে, ফজলু মিয়া যখন গ্রেপ্তার হন তখন তাঁর বয়স ছিল আনুমানিক ২৭-২৮ বছর। এখন তাঁর বয়স ৫০ পেরিয়েছে। শরীর ভেঙে গেছে। ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারেন না। কথাও জড়িয়ে যায় মুখে। অতীতের কিছুই যেন তাঁর মনে নেই। অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন দেখাচ্ছিল তাঁকে।

ধরাধরপুর গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফজলু ওই গ্রামের সৈয়দ গোলাম মাওলার ছেলে। তিনি কারাগারে যাওয়ার পর তাঁর মা-বাবা দুজনই মারা যান। পরিবারের আর কেউ নেই। তিনি বিয়ে করেননি, সংসার হয়নি তাঁর। এই ২২ বছর তাঁকে কেউ কারাগারে দেখতে আসেনি। কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন গুনে গুনে ১৯৭ দিন। সেই আদালতপাড়ায়ও দেখা হয়নি তাঁর কোনো স্বজনের সঙ্গে।



আদালতে নথিপত্র ঘেঁটে যতটুকু জানা গেছে তা হলো ১৯৯৩ সালের ১১ জুলাই সিলেটের আদালতপাড়া থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে ফজলু মিয়াকে আটক করেন তৎকালীন ট্রাফিক সার্জেন্ট জাকির হোসেন। সন্দেহের বশে ৫৪ ধারায় ফজলুকে ধরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তারপর ফজলুর বিরুদ্ধে পাগল আইনে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।


পরে ২০০২ সালে ফজলুকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। আদালত থেকে আদেশ পেয়ে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে মুক্তি দেন। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন এই ব্যক্তিকে নিতে কেউ আসেননি। ফলে তাঁকে আবারও নিয়ে যাওয়া হয় কারাগারে। এরপর কেটে গেছে আরো ১৩ বছর।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ছগির মিয়া বলেন, 'আদালতের নির্দেশ যাই থাক না কেন, আমরা তো গেটের বাইরে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে পারি না। সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ তাদের সেই দায়িত্বটা পালন করতে পারেনি।'

একসময় ফজলুর এই বিভীষিকাময় জীবনের কথা গণমাধ্যমে উঠে আসে। ফলাও করে প্রচার হয় ফজলু মিয়ার করুণ কাহিনী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। কিন্তু তার পরও আইনের মারপ্যাঁচে কেটে যায় আরো ১০ বছর।

অবশেষে গতকাল আদালতে হাজির হন ফজলু মিয়া। এটি ছিল তাঁর ১৯৮তম হাজিরা। সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম জহুরুল হক চৌধুরী তাঁর জামিন আবেদন শোনেন। ফজলু মিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জ্যোৎস্না ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সৈয়দ শামিম আহমদ। পরে আদালত কামাল উদ্দিন রাসেলের জিম্মায় ফজলুকে জামিন দেন।

কামাল উদ্দিন রাসেল বলেন, ফজলুকে চিকিৎসা করানো দরকার। আজ মুক্তি পেলে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর অন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটা ঠিক করা হবে।

কামাল আরো জানান, এর মধ্যে ঢাকার দুটি প্রবীণ নিবাস ফজলুর দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাঁরা ভেবে দেখছেন কী করা যায়।


- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2015/10/15/279307#sthash.qMUu4vV8.dpuf

যাঁরা দল করেন না, তাঁদের চাকরি কে দেবে?

যাঁরা দল করেন না, তাঁদের চাকরি কে দেবে?

আলী ইমাম মজুমদার | আপডেট:  | 
কার্টুন: তুলিবিষয়টি এখন বাংলাদেশের প্রশাসনে একটি মৌলিক প্রশ্ন হিসেবে আসছে। এ সংস্কৃতির সূচনা প্রায় দেড় দশক আগে থেকে। এর আগে কমবেশি কিছু থাকলেও এখন অনেকটা ব্যাপক ও খোলামেলা হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে পেয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। দেশে রাজনৈতিক দল আছে, থাকবেও। এগুলোর নেতা, কর্মী, সমর্থকও আছেন অনেকে। তবে সব নাগরিকই কিন্তু সরাসরি দলগুলোর কর্মী বা সমর্থক নন। হওয়ার বাধ্যবাধকতা কিংবা প্রয়োজনীয়তাও নেই। তাঁরা দলনিরপেক্ষ। নির্বাচন এলে দলগুলোর পূর্বাপর ভূমিকা, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে প্রার্থীর গুণাগুণ বিবেচনায় ভোট দেন। প্রভাব থাকে আঞ্চলিকতা, সম্প্রদায় ও গোত্রের। বলা অসংগত নয় যে কোনো কোনো স্থানের নির্বাচনে ফলাফলে দলের ভূমিকা গৌণই হয়ে যায়। এভাবে প্রকৃতপক্ষে বেশ কিছু স্থানে দল বা ব্যক্তির নির্বাচনের ফলাফলে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেন দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিরাই।
তবে তাঁরা কোনো দলের সদস্য বা স্থায়ীভাবে সমর্থকও নন। তাঁরা কিন্তু এখন মহা মসিবতে আছেন। সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধায় তাঁরা পেছনের কাতারে। চাকরির বাজারে তাঁদের প্রবেশাধিকার সীমিত। বেসামরিক চাকরিতে পিএসসির মাধ্যমে পরীক্ষায় মেধার কিছুটা ভূমিকা থাকে। তবে তা–ও সময়ান্তরে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। আর অন্যান্য চাকরিতে দলের নাম করে নেতা-কর্মীদের সনদ ছাড়া প্রবেশ প্রায় অসম্ভব। সেই সনদ অবশ্য ভিন্ন দলের লোকেরাও ক্ষেত্রবিশেষে জোগাড় করেন নানা কৌশলে। কোথাও কোথাও টাকাপয়সার লেনদেন বড় রকম ভূমিকা রাখে বলে পত্রপত্রিকায় অভিযোগ আসে। আর এর সুযোগ নিয়ে একশ্রেণির সরকারি কর্মকর্তাও আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন। ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিরা হয়ে পড়ছেন অচ্ছুত। তাঁদেরও আজ দুঃসময় চলছে।
সম্প্রতি ঢাকার একটি দৈনিকে খবর এসেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ প্রসঙ্গে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি দাবি করেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি আওয়ামী লীগ করেন বলেই এ পদ লাভ করেছেন। তাঁর এ বক্তব্য যথার্থ বলেই ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়। শুধু রাজশাহীতে নয়, অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়েছে এবং হচ্ছে। আর এ নিয়মটাই এখন অনেকটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দফাতেই ৫৪৪ জন দলীয় সদস্যকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর এ বক্তব্যও তথ্যভিত্তিক। পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করেছেন, বর্তমানে পাঁচ শতাধিক শূন্য পদের মধ্যে ‘স্বাধীনতার পক্ষের দেড়-দুই-আড়াই শ ছেলেকে কি চাকরি দেওয়া যায় না?’
এখন যাঁরা বিরোধী দলে আছেন, তাঁরাও হয়তো রাজনৈতিক পালাবদলের আশায় অপেক্ষা করছেন। ‘সুদিন’ এলে সুদাসলে পুষিয়ে দেবেন!
যিনি এ বক্তব্যটি দিয়েছেন, তিনি শুধু ক্ষমতাসীন দলের মহানগর কমিটির সভাপতি নন, পাঁচ বছর এ মহানগরীর নির্বাচিত মেয়রও ছিলেন। তিনি জেলহত্যার শিকার স্বাধীনতাসংগ্রামের অগ্রনায়ক চার নেতার একজনের সন্তান। এসব বিবেচনায় অতি সম্মানিত ও দায়িত্বশীল নাগরিক তিনি। সুতরাং তাঁর বক্তব্যও গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
প্রথমেই দেখা দরকার, তিনি স্বাধীনতার পক্ষের লোক বলতে কাদের বোঝাতে চাইছেন। এ বিষয়ে খুব গভীরে না গেলেও বলা চলে, সম্ভবত তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের কথাই বলতে চেয়েছেন। অনস্বীকার্য, তাঁর দল স্বাধীনতাসংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে রাখতেও তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। এর বাইরে যেসব দলীয় বা নির্দলীয় লোক আছেন, তাঁদের পাইকারিভাবে নিশ্চয়ই স্বাধীনতাবিরোধী বলা যাবে না। দেশপ্রেমিক যে-কেউ হতে পারেন। এমনকি নেতারা যাঁদের চেনেন না বা জানেন না, তাঁরাও। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের বিপরীতে কারও অবস্থান থাকলে তাঁর স্থান তো আইনানুগভাবে প্রমাণ সাপেক্ষে হওয়ার কথা কারাগার। এভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কেউ এ ধরনের বিভাজনের কর্তৃত্ব নিতে পারেন না। আজ স্বাধীনতার পক্ষের নাম দিয়ে যাঁদের চাকরি দেওয়ার কথা উঠেছে, তাঁরা নিশ্চিতভাবেই ক্ষমতাসীন দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী বা তাঁদের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তি। অবশ্য তিনি পুরো শূন্য পদের বিপরীতে তাঁর তালিকা দেননি। তবে নিয়োগপর্ব শুরু হলে তাঁর দলের এমনকি অঙ্গসংগঠনের অন্য নেতারাও বসে থাকবেন না। সক্রিয় হবেন জোটের অন্য দলের কোনো কোনো নেতাও।
এমনটাই অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা শূন্য পদকেও ছাড়িয়ে যায় প্রায় কিছু ক্ষেত্রে। তখন কর্তৃপক্ষ কী করবে? আর এভাবে শুধু তালিকা ধরেই যদি চাকরি দিয়ে দিতে হয়, তাহলে নিয়োগের এত ধরনের বিধিবিধান কেন? হতে পারে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে তখনকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দলীয় বিবেচনায় এ ধরনের নিয়োগ দিয়েছে। আর এরই কারণে তো তারা ২০০৮–এর নির্বাচনে চরম খেসারতও দিয়েছে। এখনো দিয়ে চলছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানের থাকা উচিত। নিয়মনীতির বাইরে গিয়ে এ ধরনের নিয়োগ দেওয়া সমীচীন মনে করবে না দেশের সচেতন মহল। আর আগের সরকারের সময়েও তা করেনি। এ ধরনের নিয়োগ গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে বারংবার। সেই ধারাবাহিকতা ভাঙা আর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকারই ২০০৮ সালে মহাজোটের মহাবিজয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল।
অবশ্য দুর্ভাগ্য, অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনি উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষেত্রেই। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হলে রাজনৈতিক নেতারা তালিকা ধরিয়ে দেন। এর বিপরীতে অবস্থান নিলে পরীক্ষাকেন্দ্র ভাঙচুর, দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নাজেহাল আর জেলা প্রশাসককে হয়রানিমূলক বদলির শিকার হতে হয়। ঠিক তেমনই অবস্থা পুলিশ কনস্টেবল ও এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে। নিয়োগের পর্ব শুরু হলে কোনো কোনো এসপি ছুটি নিয়ে রেহাই পেতে চান বিড়ম্বনা থেকে। একই ‘তালিকা আখ্যান’। আর এ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য বড় অঙ্কের লেনদেনের কাহিনিও গণমাধ্যমে বারংবার আসে। এই ধারাবাহিকতা চলছে বেসামরিক প্রশাসনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে। স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রসারের উদ্দেশ্যে বিধি সংশোধন করে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তো বটেই, বেসরকারি স্কুল-কলেজেও নিয়োগের ক্ষেত্রে চলছে একই সংস্কৃতি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনা উল্লেখ করে নিবন্ধের সূচনা। তবে অন্য বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়েও এমনটা ঘটে চলেছে। এ ধরনের চাপ দিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় শাসক দলের ছাত্রসংগঠন।
তাহলে যাঁরা এ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট হতে পারছেন না, তাঁরা যাবেন কোথায়? এর জবাব অন্য কেউ দেবে না। খুঁজতে হবে আমাদের নিজেদেরই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় কোনো না কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকবে। মনে হয়, তারা সবাই ধরে নিচ্ছে ক্ষমতায় গেলে শুধু তাদের কর্মী-সমর্থকদের চাকরি হবে। এখন যাঁরা বিরোধী দলে আছেন, তাঁরাও হয়তো রাজনৈতিক পালাবদলের আশায় অপেক্ষা করছেন। ‘সুদিন’ এলে সুদাসলে পুষিয়ে দেবেন! আর আরও বুদ্ধিমানেরা এর জন্য অপেক্ষা করেন না। তাঁরা রং বদলান দ্রুত। এমনকি দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মী-সমর্থকদেরও পেছনে ফেলে বা বাদ দিয়ে তাঁদের স্থান হয় নেতাদের তালিকায়। এমন অভিযোগ কিন্তু একেবারে কম নয়।
স্বাধীনতার চেতনা ধারণের কথা বলা হয় অনেক ক্ষেত্রে। এমন বলাটা অসংগত নয়। সেই চেতনারই তো ফল আমাদের সংবিধান। সংবিধানের প্রস্তাবনাতেই এর প্রণেতারা ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জন্য সামাজিক সাম্য ও সুবিচার নিশ্চিত করার। প্রস্তাবনার ধারাবাহিকতায় এর মৌলিক অধিকার-সংক্রান্ত অধ্যায়ে প্রজাতন্ত্রের পদে নিয়োগলাভের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের প্রণেতারা দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত এ প্রজাতন্ত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় থেকেই এসব বিধান সংযোজন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটে চলেছে এর বিপরীত চিত্র। আর যাঁরা এমনটা করছেন, তাঁরা আঘাত করছেন সংবিধানের প্রত্যয়ে। বস্তুতপক্ষে, এ ধরনের আঘাত স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিকও বটে। আর যে দল ক্ষমতায় আসে, তারা সবাই এরূপ করলেই এটা গ্রহণযোগ্য হয়ে যায় না। ভবিষ্যতেও হবে না। চাকরির অধিকার তো থাকা উচিত দল–মতনির্বিশেষে সব যোগ্য ব্যক্তির।
আলী ইমাম মজুমদার: সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
majumder234@yahoo.com

শিক্ষক পরিমলের ধর্ষণ মামলার রায় ২৫ নভেম্বর

ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

শিক্ষক পরিমলের ধর্ষণ মামলার রায় ২৫ নভেম্বর

আদালত প্রতিবেদক | আপডেট:  | 

ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের দিন ২৫ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক সালাউদ্দিন আহম্মেদ এই তারিখ ধার্য করেন।
গতকাল এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।
এই মামলার একমাত্র আসামি পরিমল জয়ধর। শুনানির আগে তাঁকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
২০১১ সালের ২৮ মে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার পাশে একতলা ভবনের একটি কক্ষে ওই স্কুলের দশম শ্রেণির একজন ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফুর রহমানকে আসামি করা হয়। ৭ জুলাই পুলিশ পরিমলকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর পরিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। আর প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হোসেনে আরা ও লুৎফুর রহমানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডের নথি হাইকোর্টে

সিলেট ও খুলনার দুই শিশু হত্যা মামলা

মৃত্যুদণ্ডের নথি হাইকোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট:  | 


রাজন হত্যা ও রাকিব হত্যাসিলেটের সবজিবিক্রেতা শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৪) ও খুলনার গ্যারেজ-কর্মী শিশু রাকিব (১২) হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়সহ মামলা দুটির নথি (ডেথ রেফারেন্স) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে পৌঁছেছে।
গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলা দুটির নথি পৌঁছায়। হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. সাব্বির ফয়েজ সাংবাদিকদের বলেন, সংশ্লিষ্ট শাখা এখন পেপারবুক তৈরি করবে। এরপর বিষয়টি শুনানির জন্য আদালতে উঠবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে, যখন দায়রা আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন, তখন মামলার নথি হাইকোর্ট বিভাগে জমা দিতে হয় এবং হাইকোর্ট নিশ্চিত না করা পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না। এ জন্য যেসব ফৌজদারি মামলায় আসামি মৃত্যুদণ্ডাদেশ পান, ওই মামলাগুলোকে ‘ডেথ রেফারেন্স’ বলা হয়।
অবশ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করার সুযোগ আসামিপক্ষের থাকে।
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অপবাদে ১৪ বছরের রাজনকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে চারজনকে গত রোববার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এ ছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন, তিনজনের সাত বছর করে এবং দুজনের এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে খালাস দেন আদালত।
ওই একই দিনে খুলনার মহানগর দায়রা জজ আদালত ১২ বছরের রাকিবকে হত্যার দায়ে তিন আসামির মধ্যে দুজনের ফাঁসির আদেশ দেন। বাকি একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
দুটি মামলার রায়কেই বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে রায় ঘোষণার নজির হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। রাজন হত্যা মামলার কার্যক্রম শেষ হয় ১৭ কার্যদিবসে, আর ১০ কার্যদিবসে রাকিব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।