Hot!

Other News

More news for your entertainment

জেনে নিন: জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম-কানুন

জমি রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম-নীতি সম্পর্কে জ্ঞাত হবার পূর্বেই জেনে নিতে হবে জমি রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা?

উত্তর হচ্ছে, প্রয়োজনীয়তা যতটুকু না রয়েছে তার চেয়ে আইনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে অনেক বেশী। রেজিস্ট্রেশন আইন ২০০৪ (সংশোধিত) অনুযায়ী, সকল দলিল রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। ২০০৪ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন সংশোধনের পর মৌখিক দান/বিক্রয় বৈধ নয়।


লেখক: এডভোকেট জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (রিগ্যান)
01711 970 318 | advocateregan@gmail.com | www.advocateregan.com |
লেখাটি সম্পর্কে যে কোন জিজ্ঞাসার জন্য এখানে ক্লিক করুন...

সুতরাং আইনের দিক থেকে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। আর প্রয়োজনের দিক থেকে আইনকে প্রধান্য দিতে হবে আগে। জমির দলিল রেজিস্ট্রেশন না হলে আইনের দিক থেকে কোন সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। রেজিস্ট্রিকৃত দলিল থাকলে পরবর্তীতে বিরোধ এড়ানো যায়। আইন অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় দলিল অবশ্যই লিখিত এবং রেজিস্ট্রি হতে হবে।


লেখাটি স্বত্ব সংরক্ষিত, অন্যত্র কপি/নকল বারিত।
তবে লেখকের স্বত্ব উল্লেখপূর্বক হুবহু প্রিন্ট অথবা শেয়ার করতে বাধা নেই।

দলিল রেজিস্ট্রির নিয়ম কি?

নিয়ম হচ্ছে, আপনি যখন একটি জমি ক্রয় করবেন তখন ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন (সংশোধিত ২০০৪) আইন অনুযায়ী আপনাকে উক্ত জমির মালিকানা পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নির্ধারিত ফরমে তথ্য ও দলিলাদি উল্লেখ পূর্বক নিবন্ধন করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনাকে নির্ধারিত সরকারী ফি প্রদান করতে হবে। আপনি চাইলে দলিল লেখকের সহযোগীতাও নিতে পারেন।


উক্ত দলিলে জমির পরিচিতি, দাতা-গ্রহীতার বিবরণ এবং ছবি সংযুক্ত করতে হয়। দলিল দাতার নামে অবশ্যই নামজারী বা মিউটেশন করা থাকতে হবে (উত্তরাধিকার ছাড়া)। দলিলে বিগত ২৫ বছরের মালিকানা সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও সম্পত্তি প্রাপ্তির ধারাবাহিক ইতিহাস লিখতে হবে। জমির প্রকৃত মূল্য, চারদিকের সীমানা, নকশা তথা চৌহদ্দি দলিলে উল্লেখ করতে হবে। দাতা কর্তৃক বিক্রিত সম্পত্তি অন্য কারো কাছে বিক্রি করেনি এ্রই মর্মে একটি হলফনামা ও সংযুক্ত করতে হবে। দলিলে বিক্রিত জমির জরীপ খতিয়ান সমূহ যেমন CS, RS-এর মালিকানার ধারাবাহিক ইতিহাস উল্রেখ করতে হবে। প্রয়োজনে ভায়া দলিলেরবিবরণ উল্লেখ করতে হবে।

উল্লেখ যে, জমির বায়না দলিলও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। রেজিস্ট্রি ছাড়া বায়না দলিলের আইনগত মূল্য নেই। বায়না দলিল সম্পাদনের ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে এবং উক্ত বায়না দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ হতে ১ বছরের মধ্যে বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি তথা নিবন্ধন করতে হবে।
এছাড়া, হেবা বা দানকৃত সম্পত্তির দলিল, বন্ধককৃত জমির দলিল, বাটোয়ারা বা আপোষ বণ্টন নামা দলিলও রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক।

ভায়া দলিল কি?




জমি সংক্রান্ত বিষয়াদির সাথে আমরা প্রায়শ “ভায়া দলিল” শব্দ যুগলের কথা শুনে থাকি। কিন্ত অনেকই জানিনা “ভায়া দলিল” কি এবং কাকে বলে?

সহজে উত্তর হচ্ছে, জমির মূল বা আদি দলিলকে ভায়া দলিল বলে। আর জমির মালিকানা নিরুপনের জন্য ভায়া দলিল একটি অপরিহার্য উপাদান।


লেখক: এডভোকেট জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (রিগ্যান)
01711 970 318 | advocateregan@gmail.com | www.advocateregan.com |
লেখাটি সম্পর্কে আপনার যে কোন জিজ্ঞাসার জন্য এখানে ক্লিক করুন...


দরুন, আপনি একখন্ড জমি আলম সাহেব থেকে ক্রয় করলেন, যার দলিল নং ২০০। আলম সাহেব উক্ত জমি ক্রয় করলেন সুফিয়া খাতুন থেকে, যার দলিল নং ১৩০। এখানে আপনার সৃজিত দলিল নং ২০০ এর ভায়া দলিল নং হচ্ছে ১৩০। অর্থাৎ ভায়া দলিল হচ্ছে মূল দলিল যা থেকে সৃষ্টি হয় পরের দলিল সমূহ।

আপনি যখন কোন জমি ক্রয় করবেন তখন অবশ্যই জমির বিক্রেতা থেকে ভায়া দলিল চেয়ে নিবেন। সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি নির্দিষ্ট ফরমে সার্চ করে উক্ত দলিলের সঠিকতা যাচাই করে নিবেন। আর উক্ত ভায়া দলিল থেকে সৃষ্ট পরবর্তী প্রতিটি দলিলের দাগ নাম্বার ও জমির হিস্যা ঠিক আছে কিনা জেনে নিবেন। যদি সন্দেহ হয় তাহলে রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষিত দলিলের সাথেও মিলিয়ে দেখতে পারেন।


লেখাটি স্বত্ব সংরক্ষিত, অন্যত্র কপি/নকল বারিত।
তবে লেখকের স্বত্ব উল্লেখপূর্বক হুবহু প্রিন্ট অথবা শেয়ার করতে বাধা নেই।

যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার



যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় বেসরকারি আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 
গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষকের নাম মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌস। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কলাবাগান থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ঠাকুর দাশ প্রথম আলোকে বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে গতকাল রাতে ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে কলাবাগান থানার হাজতে রাখা হয়েছে। 
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের ওই শিক্ষককে গত শনিবার সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। 
পরে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য এ এম এম সফিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের ছাত্রীরা বিভিন্ন সময় যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। সম্প্রতি আরেক ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। ওই শিক্ষক সংশ্লিষ্ট ছাত্রীকে চাপ দিয়ে মিথ্যা বিবৃতি আদায় করেন। এ জন্য তাঁরা ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।